কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আটক

গাজীপুরের কালিয়াকৈর  সদ্য ঘোষিত বিএনপির আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রাত তিনটার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার সাহেব বাজার ও হিজলতলীর নিজ নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাবেক সভাপতি ভিপি হেলাল উদ্দিনকে আটকের ৪ ঘন্টা পর স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় । হেলাল উদ্দিনকে ছেড়ে দেয়া হলেও আটক রয়েছে পারভেজ আহমেদ।
হেলাল উদ্দিন জানান, রাত তিনটার দিকে ডিবি ও থানা পুলিশের সদস্যরা তাদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ সুপার তাকে গতকালের সংঘর্ষ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, গতকাল কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে হেলাল - পারভেজ গ্রুপের লোকজন  নুরুল ইসলাম শিকদার ও আনোয়ার হোসেনের লোকজনের সাথে সংঘর্ষে  জড়ায়। এতে ১৬ জন আহত হয়। এই ঘটনায় সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজকে আটক করা হয়। হেলাল উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আটক রয়েছে পারভেজ আহমেদ। 
উল্লেখ্য, গেল ১৪ই জুন শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির গাজীপুরের ৮টি কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদার, সদস্য সচিব করা হয়েছে এম আনোয়ার হোসেনকে। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মামুদ সরকার ও সদস্য সচিব করা হয়েছে মহসিন উজ্জামানকে। পৌর বিএনপির কমিটি সকলেই মেনে নিলেও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি মেনে নিচ্ছেন না উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ ও সভাপতি হেলাল উদ্দিন গ্রুপ। আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে শনিবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। 
পরের দিন ১৫ই জুন রবিবার সকালে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ ও সভাপতি হেলাল উদ্দিন গ্রুপ কালিয়াকৈর সাহেববাজার এলাকায় নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে  বিক্ষোভ মিছিল করে। ঔ সময় নুরুল ইসলাম শিকদার ও আনোয়ার হোসেন এর লোকজনের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ১৬ জন আহত হয়। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদসহ ছয়জন ও অজ্ঞাত ২২জন উল্লেখ করে একটি মামলা হয়।